চাষী কবিতা – রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী

চাষী কবিতা – বিখ্যাত এই কবিতাটি লিখেছেন তিনি হলেন কবি “রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী”।

 

চাষী কবিতা - রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী
চাষী কবিতা – রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী

 

“কবি রাজিয়া খাতুন চৌধুরানী ১৯০৭ সালে নোয়াখালী জেলার হরিরামপুরে জন্ম গ্রহন করেন এবং ১৯৩৪ সালে মৃত্যু বরন করেন। কবি রাজিয়া খাতুন চৌধুরানী বহু কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, ইত্যাদি লিখেছেন । কিন্তু তাঁর একমাত্র গল্প গ্রন্থ “পথের কাহিনী ” ও কাব্যগ্রন্থ “উপহার” ছাড়া অন্য লেখা পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়নি।

 

চাষী কবিতা – রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী

 

সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা,
দেশ মাতারই মুক্তিকামী, দেশের সে যে আশা।
দধীচি কি তাহার চেয়ে সাধক ছিল বড়?
পুণ্য অত হবে নাক সব করিলে জড়।
মুক্তিকামী মহাসাধক মুক্ত করে দেশ,
সবারই সে অন্ন জোগায় নাইক গর্ব লেশ।
ব্রত তাহার পরের হিত, সুখ নাহি চায় নিজে,
রৌদ্র দাহে শুকায় তনু, মেঘের জলে ভিজে।
আমার দেশের মাটির ছেলে, নমি বারংবার
তোমায় দেখে চূর্ণ হউক সবার অহংকার।

রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী 2 চাষী কবিতা - রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী

 

চাষী কবিতা এর মূলভাবঃ

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের মানুষের খাদ্যের জোগান দেন কৃষকেরা। তাঁরা দিন-রাত শ্রম দিয়ে, ঝড়-বৃষ্টি-রোদ উপেক্ষা করে ফসল ফলন। তাঁদের এ কাজ কঠিন সাধনার কাজ। কবি তাই তাঁদের বড় সাধক বলেছেন, মাটির ছেলে বলেছেন।

কোনো উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য যিনি একান্তভাবে চেষ্টা করেন তাঁকে বলা হয় সাধক। আমাদের দেশের চাষীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, দিন-রাত পরিশ্রম করে মাঠে ফসল ফলান। তাঁদের সাধনার সেই ফসলে আমাদের সবার অন্নসংস্থান হয়। শুধু তাই নয়, চাষীদের শ্রমে উৎপাদিত ফসল এ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আমাদের সবার স্বপ্ন-আশা পূরণ করার মহান সাধনায় নিবেদিত বলে কবি চাষীকে ‘বড় সাধক’ এবং ‘দেশের আশা’ বলেছেন।

রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী 1 চাষী কবিতা - রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী

 

চাষী কবিতা আবৃত্তিঃ

 

 

আরও দেখুনঃ

Comments are closed.