দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৪৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ঋণ

যশোর ও মেহেরপুর জেলার ৪ হাজার ২শ’ জনের মধ্যে ৪৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হবে বকনা ও ষাঁড় বাছুর ক্রয়ের জন্য।

দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৪৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ঋণ

দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে  গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যশোর  ও মেহেরপুর জেলায় সমবায় কার্যক্রম বিস্তৃত করণের প্রকল্পের আবর্তক তহবিল থেকে এই ঋণ দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার যশোর সার্কিট হাউজে এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায়  দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি তথ্য জানানো হয়।

দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৪৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ঋণ

মতবিনিময় সভায় জানা যায়, প্রকল্পের মোটব্যয় ৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে যশোর জেলার ২হাজার ৫শ’ জনকে এবং মেহেরপুর জেলার ১ হাজার ৭শ’ জনকে বকনা ও ষাঁড় বাছুর ক্রয়ের জন্য ঋণ দেয়া হবে।

দুই জেলার মোট ৪ হাজার ২শ’ জনকে ১লাখ ৫হাজার টাকা করে দেয়া হবে। ১লাখ ৫হাজার টাকার মধ্যে ৮০ হাজার টাকায় দুটি ষাঁড় অথবা একটি ভালো জাতের বকনা বাছুর কিনতে হবে। বাকি ২৫ হাজার টাকা দিয়ে পশুর খাদ্য ক্রয় করতে হবে।

চেক বিতরণে ১০ দিনের মধ্যে এই পশু ক্রয় করতে হবে। এর আগে সুবিধাভোগীদের অঞ্চল ভিত্তিতে গ্রুপ নির্ধারণ করা, পশুর তথ্য সম্বলিত ফরম নির্ধারণ ও বাছুর ক্রয়ের জন্য কমিটি গঠন করা হবে।

দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৪৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ঋণ

যাতে করে কেউ পশু ক্রয়ের টাকা অন্যথায় খরচ করতে না পারে। সুবিধাভোগীদের মাঝে খুব দ্রুত এই ঋণের টাকা বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ‘দেশের  অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সেই লক্ষ্যে  গ্রামের মানুষের নূন্যতম আয়ের মধ্যে আনতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুধ ও মাংস উৎপাদনে দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূর্ণ হবে। গ্রামীণ পরিবারের  দ্রুত আর্থিক  স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে। এছাড়াও বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।’

দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৪৪ কোটি ১০ লাখ টাকা ঋণ

যশোর জেলা সমবায় কর্মকর্তা এসএম মঞ্জুরুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমানসহ খুলনাবিভাগের বিভিন্ন উপজেলার সমবায়ক র্মকর্তা, খামারি, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

আরও দেখুনঃ

টুং টাং শব্দে মুখরিত কুমিল্লার কামারপাড়া

ঋণ ব্যবস্থা