যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে

জেলার হাট কালুগঞ্জের নিকটস্থ মাথাভাঙ্গা নদী থেকে শনিবার সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে ডুবুরিরা  এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে । মৃত যুবক  হচ্ছে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার মাইনুর রহমান মুন্না(২৭)। সে ওই জেলার  মোমিনূল ইসলামের ছেলে। স্থানীয়রা বলেছেন, মামুনুর রহমান মুন্না তার বন্ধু সিএনবি ইদগাহ পাড়ার সবুজ ও মোমিনুলের সাথে শনিবার দুপুরের দিকে বৃষ্টিতে ভিজে আনন্দ করে।

যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে

যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে

এরই এক পর্যায়ে তিনবন্ধু ” মাথাভাঙ্গা নদীতে ” গোসল করতে  নামে।  কিছুক্ষণের মধ্যেই পানিতে তলিয়ে যায় সাাঁতার না জানা মাইনুর রহমান মুন্না। তার পাশে থাকা বন্ধু সবুজ মুন্নাকে বাঁচানোর চেষ্টা  করে । মুন্না তার বন্ধু সবুজের হাত ধরে কিন্তু সবুজ নিয়ন্দ্রণ করতে না পেরে সে নিজেও ডুবতে থাকে ।যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে

পাশে থাকা অপর বন্ধু মোমিনুল দ্রুত সবুজকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মুন্না পানিতে ডুবে যায়। শুরু হয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার এর তল্লাশি। খবর দেওয়া হয় ফায়ার স্টেশন ও সিভিল ডিভেন্সে। স্থানীয়দের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তল্লাশি করে মৃতদেহ খুজে  পায়নি। চুয়াডাঙ্গার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ফাইটার মাসুদ রানা বলেন, আমরা চেস্টা করার এক পর্যায়ে খুলনায় খবর পাঠানো হয়।

 

যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে

 

খুলনা থেকে ডুবুরি এনে সন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে মুন্নার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, মামুনুর রহমান মুন্নার পিতা মোমিনুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা পোস্ট অফিসে চাকুরি করেন। একমাত্র ছেলে মুন্না ও এক মেয়েকে নিয়ে পিতা মোমিনুলের সংসার অনেকটাই গোছালো। ছেলের লেখাপড়া শেষ হয়েছে। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ও হয়েছে। গত রোজার মাসে বাড়ি ফিরেছে । ইদ করে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিলো। লকডাউনের করণে তার ঢাকাই যাওয়া হয়নি।

 

আরও দেখুনঃ

Comments are closed.