১২ হতে ১৭ বয়স এর শিক্ষার্থীদের টিকাদান চলছে এবং কমলো পেঁয়াজের দাম। দেশে এখন ১২ হতে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদেরকে করোনা এর টিকাদানের কর্মসূচি চলছে।
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদেরকে সোমবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০ ঘটিকায় ডা.দীপু মনি আর স্বাস্থ্য এবং পরিবার এর কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক শিক্ষার্থীদের জন্য টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আগ্রহ এবং অভিভাবকদের চাওয়ার প্রেক্ষিতে আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের জন্য এই টিকা কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রতিটি কেন্দ্রের মধ্যে ৫ হাজার করে ৮টি কেন্দ্রে দৈনিক ৪০ হাজার এর মত টিকা দেওয়ার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দেড় বছরের অধিক সময় করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। করোনার প্রকোপ কমাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা নেওয়ার পরও ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক সবাইকে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।’
Table of Contents
১২ হতে ১৭ বয়স এর শিক্ষার্থীদের টিকাদান চলছে এবং কমলো পেঁয়াজের দাম।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যানমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ কোটি টিকা লাগবে। আমাদের কাছে ২ কোটির ব্যবস্থা আছে। বাকী ১ কোটিও ব্যবস্থা হয়ে যাবে। বন্ধুপ্রতীম দেশ আমেরিকা ছাত্রদের জন্য ফাইজারের টিকা দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এ টিকা শিশুদের জন্য পরীক্ষিত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এরমধ্যে দুই ডোজ মিলিয়ে মোট ২১ কোটি টিকা কিনেছি এবং উপহার পেয়েছি। আগামীতে আরও টিকা কেনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। শিক্ষার্থীদের এই টিকাদানের পাশাপাশি দেশজুড়ে চলমান টিকা কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে, প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীদেরকে রাজধানীর আটটি স্কুলকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাড়া বাকী সাতটি স্কুলে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এর পাশাপাশি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকবে। এই আট স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এসব স্কুলে গিয়ে টিকা নিতে পারবে। প্রতিটি স্কুলে ২৫টি বুথ থাকবে। দিনে একেক কেন্দ্রে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে ২২টি জেলায় স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই এসব জেলায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। টিকা নেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা ও জন্ম নিবন্ধন নম্বর আইসিটি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আইসিটি বিভাগ সেটি যাচাই করছেন। সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকেরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। টিকা নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের টিকা কার্ড ও জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে।
প্রাথমিকভাবে যে আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলো হলো সাউথ পয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, চিটাগং গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাকলি স্কুল, স্কলাস্টিকা,মিরপুর কমার্স কলেজ।
উল্লেখ্য, এর আগে মানিকগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে ১২০ শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছিল। টিকা নেওয়ার পর কোনো শিক্ষার্থীর কোনো রকম শারীরীক সমস্যা হয়নি। পরবর্তী সময়ের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের জন্য টিকা দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ থেকে শুরু হয়েছে ১২ হতে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদেরকে টিকাদানের কার্যক্রম।
শিক্ষার্থীদের এই সকল টিকার সকল কার্যক্রম এর উদ্বোধনী এর অনুষ্ঠানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা সচিব,আমেরিকার বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ইউএস এইড, ইউনিসেফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের কর্মকর্তাগণ।
আরো জানুন:
বাংলাদেশের খবর: বুধবারে ঘোষিত লভ্যাংশের তথ্য সমূহ
কমলো পেঁয়াজের দাম
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৭ টাকা। ৩৫ টাকার পেঁয়াজ বর্তমান পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি দরে। দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ

ক্রেতাদের মাঝে।
সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে হিলি বন্দর ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ থেকে দেড় সপ্তাহ আগে যে পেঁয়াজ বাজারে পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা কেজি দরে, তা বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা
কেজি দরে। আবার খুচরা ব্যবসায়ীরা ২৮ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে তা বিক্রি করছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।
হিলি সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ রাইজিংবিডিকে বলেন, পেঁয়াজের দাম কমে যাচ্ছে, ২৮ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনে তা ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। দাম কম হওয়াতে মানুষ একটু বেশি করে কিনছে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, পেঁয়াজ বর্তমান বিক্রি কম। আমদানিকারকদের কাছ থেকে আমরা ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে কিনে ২৮ টাকা দরে বিক্রি করছি।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মনোয়ার হোসেন চৌধুরী রাইজিংবিডিকে বলেন, পূজার বন্ধের পর থেকে আমাদের পেঁয়াজের বিক্রি কমে গেছে। রোববার আমার এক গাড়িতে ২৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। তা বিক্রি করছি ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে।
টিকাদান সম্পর্কে আরো জানুন:
ইউনিসেফ বাংলাদেশ : কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার
বাংলাদেশের খবর সাইটটি ব্যবহার করায় আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে “যোগাযোগ” আর্টিকেলটি দেখুন, যোগাযোগের বিস্তারিত দেয়া আছে।
Comments are closed.