সারা বিশ্বের মধ্যে কিছু দেশের জনপ্রিয় খাবার ,বিনোদনের জন্য আপনি কোনো দেশে ঘুরতে যাবেন হয়তো আপনি। বেড়ানো এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা একটা বড় লক্ষ্য বটে, তবে নতুন দেশে গিয়ে সেখানকার সবচেয়ে মজার খাবারটা অব্যশই আপনি মিস করতে চাইবেন না। আবার অন্য দেশ এর জনপ্রিয় কিছু খাবার আপনিও হয়তো ঘরে তৈরি করতে ইচ্ছা জাগতে পারে। খাদ্য বিশারদ আর পর্যটকদের বিবেচনায় বিশ্বের কয়েকটি দেশের সেরা কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
Table of Contents
সারা বিশ্বের মধ্যে কিছু দেশের জনপ্রিয় খাবার
* সুশি (জাপান):
ভিনেগারযুক্ত খাবার এটি ভাতের সঙ্গে সি ফুড, সবজি অনেক ক্ষেত্রে ফল যোগ করে বিশ্বের একটি দেশ জাপানে তৈরি করা হয় এই সুশি। জাপানি ওসাবি গাছ, আদা, সয়া সস মিশিয়ে তৈরি করলে সুশি বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। সুশিতে কোন ধরনের মাছ যোগ করা হয় তার ওপর নির্ভর করে থাকে এই ধরনের স্বাদ। এ খাবার বিশ্বের অনেক দেশেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এখন।

* রেনডাং (ইন্দোনেশিয়া):
অনেকের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু খাবার হচ্ছে রেনডাং। নারিকেলের দুধ দিয়ে হালকা আঁচে রান্না করা গরুর মাংসকে রেনডাং বলা হয়ে থাকে। রান্নার সময় হলুদ, রসুন, লেমনগ্রাস, আদা, মরিচ আর ইন্দোনেশিয়ান হার্ব গালানজাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। প্রায় কয়েক ঘণ্টা স্টিউ করার পর এই খাবারটির স্বাদ অন্য রকম হয়ে যায়।

* রামেন (জাপান):
জাপানের আরো একটি জনপ্রিয় ডিশের নাম হচ্ছে রামেন। হুইট নুডলসের সঙ্গে সবজি আর মাংস থাকে রামেনে। মাংসের ঝোলটা কেমন হবে, তার ওপর নির্ভর করে থাকে রামেনের স্বাদ। জাপানের একেক অঞ্চলে তাই এই খাবার গুলোর স্বাদ একেক রকম দেখা হয়ে থাকে।

* টম ইয়াম গুং (থাইল্যান্ড):
চিংড়ির সঙ্গে স্বাস্থ্যকর কিছু হার্ব আর মসলা দিয়ে তৈরি করা এক ধরনের টক আর ঝাল থাই স্যুপ। লেবু, কাফির লেবুর পাতা, গালানজাল, লাল মরিচ এসকল উপাদান যোগ করা হয়ে থাকে এই স্যুপের মধ্যে। এর স্বাদে ভিন্নতা আছে তাই আনতে নারকেলের দুধ এবং ক্রিম মেশানো হয় অনেক সময় এই খাবারের মধ্যে।

* কাবাব (টার্কি):
মধ্যপ্রাচ্যে এমনকি আমাদের দেশের মধ্যেও খুব জনপ্রিয় এক খাবার কাবাব। এটি মূলত তুরস্কের একটি জনপ্রিয় খাবার। মাংসের মন্ড দিয়েই মূলত এই কাবাব তৈরি করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে সি ফুড, ফল এবং সবজি দিয়েও তৈরি করা হয় এসকল কাবাব।

* পিকিং ডাক (চীন):
এই খাবারের জন্য বিশেষভাবে যত্ন নিয়ে হাঁসকে জন্মের ৬০ দিন পর কাটা হয়, যাতে হাঁসটির চামড়া নরম থাকে। যিনি অর্ডার করবেন, তার সামনেই খাবারটি তিন ভাগে ভাগ করে, তৈরি করে দেয়া হয়। প্রথমে চিনি আর রসুনের সস দিয়ে সার্ভ করা হয়। তারপরের অংশ দেয়া হয় পেনকেক দিয়ে। আর শেষ অংশটা দেওয়া হয় মাংসের ঝোল দিয়ে সার্ভ করা হয়। যারা হাঁসের মাংস থেতে পছন্দ করে, তাদের জন্য এটি খুব লোভনীয় একটি খাবার এটি।

* পায়ালা (স্পেন):
জনপ্রিয় এই খাবারটির উৎপত্তি হয়েছে স্পেনের ভ্যালেনশিয়াতে। মূলত খরগোশ কিংবা মুরগি অথবা হাঁসের মাংস দিয়ে পায়ালা তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে চিংড়ি আর শামুকের মতো বিভিন্ন সি ফুডও যোগ করা হয়ে থাকে এতে। এই খাবারটি তৈরির জন্য সবচেয়ে ভালো আর উত্তম চাল হলো বোম্বা রাইস কিংবা ভ্যালেনশিয়া রাইস।

* গোলাশ (হাঙ্গেরি):
মধ্য ইউরোপের জনপ্রিয় এক খাবার এর নাম গোলাশ। নবম শতকে হাঙ্গেরিতে এই খাবারের প্রচলন প্রথম শুরু হয়। গরু, গরুর বাচ্চা, ভেড়ার মাংস কিংবা শূকরের মাংস দিয়ে এই খাবার তৈরি করা হয়। ছোট ছোট আকৃতি করে মাংস কেটে লবণ দিয়ে মেখে রাখা হয়। এরপর পেঁয়াজ কুচি আর তেলে গরম করতে হয় এই খাবার। গুঁড়া মরিচ যোগ করে মাংসটা হাল্কা কম আঁচে গরম করার পর তার সাথে গাজর, আলু আর ধনেপাতা মেশানো হয়।

* লাসাগনা (ইতালি):
ইতালিতে এক সময় বেশ জনপ্রিয় ছিল লাসাগনা নামের একটি পাস্তা। এখন আবারো ফিরে এসেছে এই খাবার। এতে মাংস, পাস্তা, সবজি, টমেটো, সস আর প্রচুর পরিমানে চিজ দেয়া হয়। এখন লাসাগনা ইতালির সব বয়সী মানুষেরই পছন্দ করা থাকেন।

* বিরিয়ানি (ভারত):
শুধু ভারতেই নয় পাকিস্তান, বাংলাদেশ সহ উপমহাদেশের প্রায় সব দেশের মধ্যেই বিরিয়ানি খুব জনপ্রিয় একটি খাবার। সবচেয়ে সুস্বাদু বিরিয়ানি রান্না করার ক্ষেত্রে ভালোমানের বাসমতি চাল, ভালো মানের তেল, খাঁটি ঘি ব্যবহার করা উচিত। চিকেন বিরিয়ানি আর কাচ্চি বিরিয়ানি দুটোই খুব জনপ্রিয় কম বয়সী ভোজনপ্রিয় রসিকদের কাছে।

*সালাদ অলিভিয়ার (রাশিয়া):
যেকোনো স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিক রাশিয়ায় গিয়ে সালাদ অলিভিয়ার খেতে চাইতেই পারে। তবে কোনো রেস্টুরেন্ট এর মধ্যে বসে সালাদ অলিভিয়ার অর্ডার করে ধাক্কার মতো খাবেনই। এই সালাদটিতে সবজির চেয়েও মেয়োনিজ এর পরিমাণ থাকে বেশি।
এক বাটি সালাদ অলিভিয়ার স্বাস্থ্য রক্ষা না করে কিন্তু, উল্টো গায়ের চর্বি বাড়াবে। তবে এসব নিয়ে সমস্যা না থাকলে সালাদ অলিভিয়ার অবশ্যই আপনাদের খাবারের তালিকায় রাখা উচিত। বিচিত্র ধরনের এই সালাদটি খেতেও খুব মজাদার।

সীফুড (অস্ট্রেলিয়া):
সামুদ্রিক মৎস্য অ্যান্টার্কটিকা থেকে সমৃদ্ধ শীতল স্রোত দ্বারা সাহায্য করা হয়ে থাকে। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর উভয় উপকূলরেখাগুলির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নদী ব্যবস্থা আর জলাভূমিগুলিও রয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার মৎস্য প্রজাতির ব্যাপক বিস্তৃতি রয়েছে।
বেশিরভাগ বিখ্যাত মিঠা এর পানি এর মধ্যে প্রজাতির মধ্যে বারমুণ্ডি, মারে কড আর বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে রয়েছে পারচ।
মহাসাগর এর মধ্য দিয়ে এলাইটেল, কিংফিশ, ব্রীম, স্পাপর, রেড সম্রাট আর অরেঞ্জ রাফি।

বিভিন্ন দেশের জাতীদের মধ্যে ভেদাভেদ বুঝে, এক এক দেশের এক এক রকমের খাবারের প্রতি আকৃষ্ট রয়েছে। যেমন আমাদের দেশের মানুষদের যেমন বিরিয়ার প্রতি আলাদা টান রয়েছে, তেমনি অন্যান্য দেশের মানুষদেরও তাদের নিজ দেশের উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো পছন্দ করে থাকেন।
খাদ্য সম্পর্কে আরো জানতে দেখুন:
- ইত্তেফাক: হিমায়িত প্যাকেটজাত খাবারের বাজার দ্বিগুণ হয়েছে
- ঢাকাটাইমস: মাশরুম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
আমাদের অন্যান্য আর্টিকেল:
- বাংলাদেশের খবরঃ মশার হাত থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়!
- বাংলাদেশের খবরঃ নানান স্বাদের চা !
বাংলাদেশের খবর সাইটটি ব্যবহার করায় আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে “যোগাযোগ” আর্টিকেলটি দেখুন, যোগাযোগের বিস্তারিত দেয়া আছে।
Comments are closed.