নানান স্বাদের চা ,চা পছন্দ করে না এমন মানুষদের সংখ্যা খুব কমই আছে। এক কাপ চা ছাড়া অনেকেই তার দিনটির যাত্রা শুরুই করতে পারে না। বাসা বা অফিস কিংবা যেকোনো আড্ডায় চা হবে না সেটা কল্পনার বাইরে ভাবার বিষয়। আপনি যে চা পান করেন না কেন,সেটি কিন্তু একটি উদ্ভিদ থেকে আসে। যার বৈজ্ঞানিক নাম হলো ক্যামেলিয়া সাইনেসিস। বিভিন্ন এলাকার চায়ের নিজস্ব স্বাদ আর গন্ধ থাকলেও, স্বাস্থ্যগত উপকার কিন্তু একেক ধরনের। চা এর মধ্যে অনেক বেশি অ্যান্টি অক্সিজেন রয়েছে। যা হৃদরোগ কমাতে যথেষ্ট সহায়ক।
শুধু কী তাই? চা রক্তজমাট বাঁধতেও বাধা দিয়ে থাকে। চায়ে রয়েছে পটাশিয়াম এবং জিঙ্ক।
চায়ের মধ্যে ভিন্ন স্বাদ পেতে বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে বানাতে পারেন হরেক রকমের চা। আজ থাকছে হরেক রকমের চায়ের নাম সমূহ।
চা পাতা এক চামচ আর টি-ব্যাগ একটা। তুলসী পাতা ১০ থেকে ১২টা। লেবুর রস যেন পরিমাণমতো হয়, যেন স্বাদ পাওয়া যায়। মধু পরিমিত পরিমানে। পানি ৫০০ মিলিমিটার। ফুটন্ত পানির মধ্যে তুলসী পাতা দিয়ে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর চা পাতা দিয়ে আরও কয়েক মিনিট ধরে ফুটাতে হবে। এরপর ছেঁকে নিজের মতো করে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে পান করুন।
Table of Contents
নানান স্বাদের চা :
কালিজিরা এবং গোলমরিচের চা:

চা পাতা দুই চা চামচ, কালি জিরা আধা চা চামচ, আস্ত গোলমরিচ আধা চা চামচ, আদা কুঁচি এক চামচের কিছু অংশ নিতে হবে, চিনি কিংবা মধু নিজের মতো করে। আর পানি ৫০০ মিলিমিটার। পানি ফুটিয়ে চা, কালিজিরা, আস্ত গোলমরিচ এবং আদা কুঁচি দিয়ে ফোটাতে হবে। এরপর ছেকে চিনি অথবা মধু মিশিয়ে গরম গরম চা পান করুন।
মাল্টা আর মরিচের চা:
চা পাতা নিতে হবে আধা চামচ, একটা মাল্টা,একটা কাঁচামরিচ আর পানি ৫০০ মিলিমিটার। চায়ের মধ্যে ইচ্ছেমতো চিনি অথবা মধু নিতে পারেন। পাত্রে পানি ফুটিয়ে এর মধ্যে চা পাতা আর কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে কয়েক মিনিট ফোটাতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে মাল্টার রস আর পাতলা গোল করে কাটা মাল্টা দিয়ে দিন। এটি কিন্তু চামচ দিয়ে মেশাতে হবে। ঝাল স্বাদ না চাইলে কাঁচামরিচ বাদ দেওয়া যেতে পারে।
লবঙ্গ চা:
চা পাতা নেওয়ার লাগবে আধা চামচ, ১৫টি লবঙ্গ, চিনি অথবা মধু নিজের ইচ্ছেমতো। এবং পানি নিতে হবে ৭০০ মিলিমটার। পানি ফুটলে তাতে লবঙ্গ দিয়ে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট ধরে ফোটাতে হবে। নিদিষ্ট সময়ের পর চা পাতা দিয়ে কমপক্ষে আরো ৭ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে ইচ্ছেমতো চিনি অথবা মধু মিশিয়ে গরম চা পান করুন।
তন্দুরি চা :
তন্দুরি চিকেন তো সব সময় খেয়ে থাকেন, কিন্তু তন্দুরি চা কি খেয়েছেন কোন সময়? চা বাঙালির নিত্য দিনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। সকালে উঠে চায়ের কাপে চুমুক হোক বা বিকেলে চায়ের সাথে গল্প- গুজব, কিংবা বর্ষায় বৃষ্টি বিলাস করতে চা; যা- ই উপলক্ষ হোক না কেন চায়ের নেশায় বুদ হয়ে আছে বাঙালি। আর তাই ভিন্ন ভিন্ন স্বাদে চায়ের রস উপভোগে নিত্যনতুন পদ্ধতিতে চা তৈরি করা হচ্ছে। তেমনি চায়ের নতুন প্রকার তন্দুরি চা। তন্দুরি চায়ের ধারণা টি একদম নতুন। ভারতের পুনের দুইজন চা-ওয়ালা মূলত তন্দুরি চা-কে প্রথম সবার সামনে নিয়ে আসেন। পুনে থেকেই তন্দুরি চা চা-রসিকদের কাছে পৌঁছে যায়।

পরবর্তীতে তন্দুরি চায়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেলে তন্দুরি চা ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। তন্দুর মানে হচ্ছে মাটি বা ইটের তৈরি এক ধরণের বিশেষ চুলা। তারপর মাটির ভাড়কে তন্দুরের ভেতরে রেখে ভালোমতো গরম করা হয়। অন্য আরেকটি চুলায় গরম হতে থাকে বিশেষ মসলা চা। তারপর ফরমায়েশ আসলেই তন্দুর থেকে তামার পাত্রের ওপরে রাখা হয় মাটির কাপগুলো।
তারপর সেখানে গরম গরম বিশেষ মসলা চা ঢালা হয়, আর ঢালার সাথে সাথেই গরম চা বুদবুদ করে ওপরে উঠে এসে কাপ থেকে গড়িয়ে পড়ে। সাথে তৈরি হয় সুস্বাদু ধোঁয়াটে মাটির গন্ধ। মাটির কাপের এই গরম ধোঁয়াটে স্বাদই মূলত এর বিশেষত্ব।
এ ছাড়াও আরো রয়েছে হরেক রকম চা। যেগুলো বিদেশে খুবই জনপ্রিয়। এ সকল চায়ের মধ্যে রয়েছে- হোয়াইট টি, হারবাল টি, ওলং টি, ব্লাক টি, গ্রিন টি ইত্যাদি চা সমূহ। বাংলাদেশ এর মধ্যে এখন গ্রিন টি এর বেশ প্রচলন রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকের মতে এই চা এর পান করার ব্যাপারে আগ্রহ বাড়তে দেখা গেছে। গ্রিন টি ত্বক পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে থাকে।
শুধু তাই নয়, এটি হৃদরোগ প্রতিরোধেও সহায়ক। এর পাশাপাশি দাঁতের ক্ষয়সহ মাড়ি মজবুত করতে এই চায়ের জুড়ি নেই বলে জানিয়েছেন কিছু দন্ত বিশেষজ্ঞরা। ব্ল্যাক টি নিয়মিত পান করলে উচ্চ রক্তচাপ আর ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে বলে চিকিৎসকরা এটি জানিয়েছেন। তবে এই চা টি খেতে হবে দুধ ছাড়া। হারবাল টি তো ভেষজ উপাদানে মধ্যে মিশ্রিত। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালোই উপকারী।
চা সর্ম্পকে আরও জানতেঃ
আমাদের অন্যান্য আর্টিকেল:
- বাংলাদেশের খবরঃ কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের প্রয়াণের ৫০ বছর
- বাংলাদেশের খবরঃ ডেঙ্গু হলে যে সকল খাবার খাবেন ও খাবেন না
বাংলাদেশের খবর সাইটটি ব্যবহার করায় আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে “যোগাযোগ” আর্টিকেলটি দেখুন, যোগাযোগের বিস্তারিত দেয়া আছে।
Comments are closed.